আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২০
মানুষের ১২টি মাথার খুলি, ২ বস্তা হাড়সহ গত ১৫ নভেম্বর মো. বাপ্পী (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বাপ্পীর ই–মেইল আইডি ঘেঁটে ভারত ও নেপালের কঙ্কাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এই চক্রের অন্যতম হোতা হলেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী মো. শাকিল। তাঁর মাধ্যমেই বাপ্পী কঙ্কাল পাচারকারীদের এই চক্রে যুক্ত হন। শাকিল আগে ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন, এখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ খুঁজে না পেলেও শাকিলের খোঁজ পাওয়া গেল কাছেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাকিল আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৫ সালে প্রথম দফায় কঙ্কাল পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর তাঁকে অ্যানাটমি বিভাগ থেকে ছাত্রাবাসে বদলি করা হয়। এখন তিনি একটি ছাত্রাবাসের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন। গত সোমবার রাতেও শাকিল তাঁর চাকরিস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং হাজিরা খাতায় সইও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কঙ্কাল চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সেই মামলাটি এখন বিচারাধীন।